Parenting Tips: মা-বাবার কাছেই প্রাথমিক শিক্ষা, অভিভাবকের আচরণই সন্তানের ভবিষ্যৎ ঠিক করে দেয়
1 /10 স্কুলের পাঠ হোক বা জীবনের পাঠ, প্রাথমিক শিক্ষা মেলে বাড়িতেই। তাই মা-বাবার উপর ছেলেমেয়ের ভবিষ্যৎ নির্ভর করে অনেকটাই। ছোট থেকে যে ধরনের পরিবেশে বড় হয় শিশু, মা-বাবার থেকে যে আচরণ পায়, সেভাবেই গড়ে ওঠে তার মন, জীবনের গতিপথও সেই অনুযায়ী এগোয়। ছবি: পিক্সাবে। 2 /10 প্রত্যেক মানুষের চরিত্র আলাদা। তেমনই শিশুকে বড় করার ক্ষেত্রে অভিভাবকদের চিন্তাভাবনাও এক-এক রকমের হয়। কেউ শিশুকে কড়া শাসনে রাখার পক্ষপাতী, কেউ আবার বন্ধুর মতো আচরণকেই ভাল মনে করেন। দুইয়েরই ভাল-মন্দ দিক রয়েছে। ছবি: পিক্সাবে। 3 /10 ছেলেমেয়ের উপর কর্তৃত্ব খাটান অনেক মা-বাবা। নিজেদের আশা-আকাঙ্খা সন্তানের ঘাড়ে চাপিয়ে দেন। পাহাড়প্রমাণ লক্ষ্য ঠিক করে দেন, ছেলেমেয়ে তা পূরণ করবেন বলে আশাও রাখেন। এর ফলে নিয়মানুবর্তিতা শাস্তিতে রূপান্তরিত হয়। প্রকাশ করতে না পারলেও, মা-বাবার প্রতি শ্রদ্ধার পরিবর্তে ভয় কাজ করে শিশুমনে, যা পরবর্তীতে বিতৃষ্ণাও হয়ে উঠতে পারে। ছবি: পিক্সাবে। 4 /10 সন্তান জীবনে উন্নতি করুক, অনেক বড় হোক, এমনটা চাইলেও, সন্তানের পছন্দ অপছন্দকেও গুরুত্ব দেওয়ার পক্ষপাতী কিছু মা-বাবা। সন্তান ভুল করলে শাসন করেন যেমন, তেমনই সন্তানের মনের অবস্থাও বোঝার চেষ্টা করেন এঁরা, যা সুস্থ জীবনের দিকে এগোতে সাহায্য় করে সন্তানদের। ছবি: পিক্সাবে। 5 /10 কিছু মা-বাবা আবার সন্তানের থেকে কিছু প্রত্যাশা রাখেন না। বরং নিয়েদের কর্তব্য পালনকেই গুরুত্ব দেন। কড়া শাসনে রাখেন না সন্তানকে, সন্তানের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়ান না। কোনও দোষ দেখতে পান না সন্তানের। তবে শুধু ভালবাসা নয়, বিপদ আপদ থেকে সন্তানকে রক্ষা করাও মা-বাবার দায়িত্ব। ছোট বয়সে নির্দিষ্ট গণ্ডি না কেটে দিলে, কখনও হাত ফস্কে যেতে পারে ছেলেমেয়ে। ছবি: পিক্সাবে। 6 /10 কিছু মা-বাবা আবার সন্তানের মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যাপারে উদাসীন। নিজেদের কাজকর্ম নিয়ে এতটাই ব্যস্ত থাকেন, ছেলেমেয়ের মনের অবস্থা বোঝার মতো সময় থাকে না তাঁদের কাছে। এতে অল্পবয়সেই একাকীত্ব গ্রাস করে শিশুকে। সংসার, সমাজের প্রতি নেতিবাচক ধারণা জন্মায় তাঁদের। ছবি: পিক্সাবে। 7 /10 কথায় বলে দেখে শেখার থেকে ঠেকে শেখা ভাল। কিছু মা-বাবা সন্তানকে বড় করার ক্ষেত্রে এই নিয়ম মেনে চলেন। ভুল থেকেই ছেলেমেয়ে শিক্ষা পাক বলে মনে করেন এঁরা। এমনকি ঝুঁকি রয়েছে জেনেও সন্তানের সিদ্ধান্তকেই প্রাধান্য দেন এঁরা। তবে সন্দানকে বিপদ থেকে রক্ষা করতে কোনও কসুর রাখেন না এঁরা। ফলে মা-বাবার প্রতি ভালবাসা, সম্মান এবং ভরসা বাড়ে ছেলেমেয়ের। ছবি: পিক্সাবে। 8 /10 কিছু মা-বাবা আবার জীবন দিয়ে আগলে রাখেন সন্তানকে। কোনও আঁচ আসতে দেন না সন্তানের উপর। তবে এই অভ্যাস থেকে পরবর্তীতে সন্তানের জীবনে নাক গলাতেও শুরু করেন তাঁরা। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। বেড়াজাল কেটে বেরোতে বিদ্রোহ ঘোষণা করতে পারে সন্তান। ছবি: পিক্সাবে। 9 /10 সন্তান কোথায় যাচ্ছে, কার সঙ্গে মিশছে, কী খাচ্ছে, সারাক্ষণ সন্তানের উপর নজরদারি চালান কিছু মা-বাবা। স্কুলের হোমওয়র্ক হোক বা সমাজে মেলামেশাস, সবেতেই সন্তানের পাশে থাকতে চান এঁরা। কিন্তু এতে সন্তানের মনে হীনম্মন্যতা তৈরি হতে পারে। ছবি: পিক্সাবে। 10 /10 স্নেহে অন্ধ হয়ে যাওরার পরিবর্তে ছোট থেকেই ছেলেমেয়েকে ভালমন্দ শেখাতে শুরু করেন কিছু মা-বাবা। কিন্তু সন্তানের সিদ্ধান্তে নিজেদের মতামতা জোর করে চাপিয়ে দেন না। আবার সন্তান যখন ভেঙে পড়ে, সবার আগে তাঁরাই ছুটে যান। ব্যর্থতা কাটিয়ে সাফল্যের পথে এগিয়ে যেতে উৎসাহ জোগান। এতে সন্তান মা-বাবার থেকে কিছু লুকোয় না, নির্দ্বিধায় সবকিছু শেয়ার করতে ভরসা পায়। ডিসক্লেইমার: এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র অনুমান এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এখানে উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে এবিপি লাইভ কোনও ধরনের বিশ্বাস, তথ্য সমর্থন করে না। কোন তথ্য বা অনুমান প্রয়োগ করার আগে, সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করুন। ছবি: পিক্সাবে।
Published at : 26 May 2024 11:35 AM (IST)